Advertisement

Responsive Advertisement

নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ।

আমাদের সমাজে যখন জিহাদ শব্দটা বলা হয় তখন সবার মাথায় চলে আসে জিহাদ মানে যুদ্ধ। কিন্তু জিহাদ দ্বারা যে মাঠে ময়দানে লড়াই করতে হবে শুধু তা বুঝায় না, জিহাদকে প্রকারভেদ করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় জিহাদ হল নিজের নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ। কেননা শয়তান আমাদের ভুল পথে ভ্রমণ করানোর জন্য লেগে থাকে অন্যদিকে মনের ইচ্ছাকে আমরা ফেলতে পারি না। আমাদের মনের অলসতাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয় বলে অনেক সময় আমাদের নামাজ ও ছুটে যায়। তাই মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জিহাদ করাটা আমাদের অতীব প্রয়োজনীয়। একদা আমাদের বড় পীর, অলীকুলের শিরমনি আব্দুল কাদের জিলানী (র.) শীতকালে রাতে একটু আরাম করছিলেন। তখন প্রচন্ড শীত, হঠাৎ উনার উপর গোসল ফরজ হয়ে যায়, তিনি তখন উঠে গোসল করতে চাইলে, তার মন তাকে বাঁধা দেয়, তার মন বলতে লাগল ফযরের সময় এখনো অনেক আছে, এই প্রচন্ড শীতে গোসল করোনা। মনের এই ইচ্ছা জাগার কারণে তিনি রেগে গেলেন এবং তিনি তার নফসকে শাস্তি দেয়ার জন্য সাথে সাথে ঠান্ডা পানি দ্বারা গোসল করে। তিনি গোসল শেষে ভিজা কাপড়গুলো পরিধান করে নামাজ আদায় করেছিলেন যাতে তার নফস আর কখনো এই ধরনের ইচ্ছা পোষণ না করে। প্রতিনিয়ত আমাদের নফস আমাদের বিভিন্ন অলসতা দেখিয়ে আল্লাহর ইবাদত থেকে বঞ্চিত করছে কিন্তু আমরা নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ না করে উল্টো অলসতাকে প্রধান্য দিয়। অথচ গাউছে পাক আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন কিভাবে নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হয়। তাই আমাদের উচিত আগে নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করা, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এতে আমাদের কল্যাণ নিহিত।                                                                 

Post a Comment

0 Comments