Advertisement

Responsive Advertisement

পীরানে পীর দস্তগীর সৈয়দ আবদুল কাদের জীলানি (র.)।

হে বড় পীর তোমার কি প্রসংশা করব, যত করিই না কেন সবই কম মনে হয়।তুমি রাসূলের নয়নমণি, তুমি দেখিয়েছ সত্যের পথ। হে অলীকুলের শিরমণি, এই গুনেহগার তোমার কি প্রসংশা করব?
হযরত আবদুল কাদের জীলানি (র.) সকল অলীদের সরদার, যার কারামত মাতৃগর্ভ থেকেই মহান আল্লাহ প্রকাশ করিয়েছেন তার সম্পর্কে এই গুনেহগার কিভাবে লিখবো দিশেহারা।তারপরও এই মাস গাওছে পাকের মাস অর্থাৎ মাহে রবিউস ছানির মাসে তিনি এই দুনিয়া হতে পর্দা করেছিলেন। তিনি সবসময় তার কারামত গোপন রাখার চেষ্টা করতেন কিন্তু আল্লাহ তার কারামত প্রকাশ করিয়ে দিতেন। ইসলামের কঠিন মুহূর্তে আবার  ইসলামকে জাগিয়ে তুলেছেন। তার সম্পর্কে তার প্রসংশা করতে গেলে এই অধমের হায়াত শেষ হয়ে যাবে কিন্তু তার গুনগান শেষ হবে না। আজ আমি লিখতে বসেছি এইজন্য বর্তমান আধুনিক সমাজ জানে যে তিনি কে?  কেন আমরা সরকারিভাবে তার দুনিয়া হতে পর্দা করার দিনটিকে ছুটির দিন ঘোষণা করে ফাতেহা-ই- ইয়াজদাহম পালন করি? তার দুনিয়ায় আগমনের দিন ছিল পবিত্র রমজান মাসের ১ম দিন এবং তিনি দুনিয়ার প্রথম দিন থেকেই সিয়াম পালন করছিলেন। সেই দিনটি ছিল মেঘলা আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার অবকাশ নেই। সবাই এলেন গাওছে পাকের বাবার কাছে, কেননা তিনি সেই সময়ের বুজুর্গ ছিলেন। তিনি সবাই কে বললেন যেহেতু চাঁদ দেখা যাচ্ছে না তারপরও তোমরা রোজা রাখ। আর সেই সময়ই দুনিয়ায় আগমন করেন আমাদের পীরানে পীর দস্তগীর সৈয়দ আবদুল কাদের জীলানি (র.)। যখন ছোবহে সাদিক হল তখন থেকে দুধপান বন্ধ করে দিয়েছেন, মা অনেক চেষ্টা করেও সারাদিন দুধ পান করাতে পারেনি তাই চিন্তিত হয়ে পড়লেন। যখন সূর্য ডুবে গেল তখন দেখা যায় তিনি আবার দুধপান শুরু করেন। তখন তার বাবা সবাইকে বললেন আমরা আজ প্রথম রোজা পালন করেছি কেননা আমার যে সন্তান হয়েছিল সে ছোবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দুধ পান করেনি। সেও আমাদের সাথে রোজা রেখেছে। তাই আমি এটি নিঃসন্দেহে বলতে পারি গতকাল চাঁদ উঠেছিল। যখন গাওছে পাককে কোরআন শিখার জন্য নিয়ে যাওয়া হল তখন দেখা গেল তিনি না দেখো মুখস্থ ১৮ পারা কোরআন তেলোওয়াত করে শুনালেন। সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করা হল, তুমি কিভাবে মুখস্থ ১৮ পারা কোরআন বলতে পারলে? তখন গাওছে পাক (র.) বললেন, যখন আমার মা কোরআন শরীফ তেলোওয়াত করতেন তখন আমি আমার মায়ের গর্ভ থেকে তা মনযোগ দিয়ে শুনতাম। এভাবে শুনতে শুনতে আমার ১৮ পারা পর্যন্ত মুখস্থ হয়ে যায়। আমরা অধিকাংশই জানি তার সত্যবাদীতার জন্য ডাকাত দলের সবাই তার কাছে আত্মসমর্পণ করার ঘটনা। সত্য মানুষকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যায়, সত্য কখনো মানুষকে হতাশ করে না যদি তার কাছে ধৈর্য থাকে। একদিন গাওছে পাক (র.) রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন এক বৃদ্ধ রাস্তার পাশে পড়ে আছে তার উঠে দাড়াবার শক্তি নেই। সেই বৃদ্ধ আবদুল কাদের জীলানি (র.) কে দেখে তাকে ধরে তুলে দিতে বললেন। তাই তিনি বৃদ্ধের কাছে গিয়ে বৃদ্ধকে ধরার সাথে সাথে বৃদ্ধ যুবকে পরিণত হল। তখন আবদুল কাদের জীলানি (র.) আনহু জিজ্ঞেস করলেন আপনি বৃদ্ধ ছিলেন কিন্তু আমি ধরতেই যুবক কিভাবে হয়ে গেলেন?  তখন সে উত্তর দিল, আমি হচ্ছি ইসলাম। মানুষ এত বেশি তাদের ধর্ম থেকে দূরে গেল যে আমি দুর্বল এক বৃদ্ধে পরিণত হয়েছি। যখন আপনার ছোঁয়া লাগল সাথে সাথে আমি আবার আমার শক্তি ফিরে পেয়েছি। কেননা গাওছে পাকের মাধ্যমে ইসলাম এত বেশি প্রচার প্রসার হয়েছিল, তার মজলিসে ৭০ হাজার মানুষ উপস্থিত হত এবং তার কথা সামনের জন যেভাবে শুনত ঠিক পেছনের জনও একইভাবে শুনত, সে পেছনে বসেছে বলে কম শুনত এমন কখনো হত না। সংক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরলাম। যদি আল্লাহ তৌফিক দেন তাহলে গাওছে পাক সৈয়দ আবদুল কাদের জীলানি (র.) সম্পর্কে তুলে ধরব আপনাদের সামনে।                                                                                                                                                                       

Post a Comment

0 Comments