সকল জীবের সেরা তুমি
তুমিই করেছ এই বিশ্ব জয়
জয়ের অতলে চলে গেল এক ধরম।
মানুষের জীবনে ভালো সময় আসে আবার খারাপ সময়ও যায়। এই পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে সবসময় ভালো সময় পার করেছে। খারাপ সময়ের জন্য ধের্য্যের বিকল্প আরকিছু নেই। কিন্তু আমরা ধের্য্য ধারণ না করে ঐ সময়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। আর মানুষ যত খারাপ কাজে লিপ্ত হয় তার অধিকাংশ করে থাকে খারাপ সময়ের মোকাবেলা করতে না পারায়।ঐ সময়টা যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় একটা মানুষের জীবনে। কেননা যে খারাপ সময়ের মোকাবেলা করতে পারে সে তার জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে পারে। আর সেই মোকাবেলার হাতিয়ার ধৈর্য্য। যে সে সময় ধৈর্য্য ধারণ করে শান্তভাবে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারে সে 'ই সফল হয়।মানুষের জীবনে ঝঞ্জাল থাকে তাই বলে ধৈর্য্য হারা হওয়া যাবে না। যার বুঝার ক্ষমতা আছে সে খারাপ সময়েও ধৈর্য্য ধারণের মাধ্যমে সুখকে খুঁজে নিতে পারে। আর এই পৃথিবীর প্রকৃত সুখী সে যার অধিক টাকা সম্পদ না থাকা সত্ত্বেও সে তার থাকা স্বল্প সম্পদে তুষ্ট। তার আরও বেশি পাওয়ার আগ্রহ নেই। এই বেশি চাওয়ার বা পাওয়ার আগ্রহই তাকে সুখী করে রেখেছে।আর যার কাছে তুষ্টতা নাই পাওয়ার আগ্রহ বেশি, মূলত সেই আগ্রহ তাকে অসুখী করে তুলে। বিশ্বে তারাই আজ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে, যারা ছুটেছে মানবতার জান্য, যারা ছুটেছে সত্যের জন্য , নয় টাকা সম্পদের জন্য, তারা কঠিন সময়ে আপন করে নিয়েছিল তাদের ধৈর্য্যকে। যা তাদের অমর করে রেখেছে। তোমরা সফল মানুষদের জীবনের ইতিহাস দেখ। তাদের ধৈর্য্য ছিল জীবনের অধিক সময় ধরে, এতে তাদের জীবন পার হয়েছে বলে ধৈর্য্য আর তার পরিশ্রম তাকে হতাশ করে নি। তাকে এমন ফসল দিয়েছে মানুষ তাকে মনে রাখতে বাধ্য হয়েছে। তার প্রসংশার জোয়ার যেন থামেনি সাগরে।একটি শিশু যখন দাড়াতে শুরু করে তখন দেখা যায় সে বারবার দাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় কিন্তু বারবার সে পড়ে যায়। একসময় এসে দেখা যায় তার বারংবার ধৈর্য আর চেষ্টা তাকে হতাশ করে না, সে দাড়াতে পারে। যখন দাড়ানো শিখে যায় তখন সে হাটার চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু সে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যায়, পূর্বের ন্যায় সে আবার চেষ্টা চালিয়ে একসময় এসে সফল হয়। যদি সে বারবার পড়ে যাওয়ায় ধৈর্য্য হারা হয়ে চেষ্টা না করত তাহলে সে হাটতে পারত না। তার কাজে দুইটি দিক ফুটে উঠে একটা ধৈর্য অপরটা চেষ্টা।আমরা এগুলোকে আপন করতে পারি না বলে জীবনটাকে বোদনার করে ফেলি। তাই জীবন গল্পে জয়ী হতে হলে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আপন করে নিতে হবে। মানবিক মুল্যবোধের দরজা খুলে দিতে হবে। পরোপকারে যার মন উজালা সেই প্রকৃত সুখী হতে পারে।
0 Comments