এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার করেছিল আল্লাহর ওলীরা। তাই সচারাচর এখানে ইসলাম আসে মদিনা থেকে। সারা বিশ্বে যখন মুসলমানরা সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণ করছে, চর্চা করছে তখনই আবদুল ওয়াহাব নজদী নামের মনুষ্য শয়তান ওহাবীবাদ প্রচার করতে লাগল। এই ওহাবীবাদ সহজে এই উপমহাদেশে আসে নি। এইখানে যে ওহাবীয়ত আমদানি করেছিল সে হল সৈয়দ আহমদ বেরলভি। শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভীর কাছে সৈয়দ আহমদ বেরলভি যখন ছবক নিতে আসল তখন শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী (র.) তাকে যে ছবক দিয়েছিল সে তা তিন দিনেও শিখে দিতে পারেনি। আহমদ বেরলভি শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী (র.) এর কাছে বায়েত হয়েছিল কিন্তু যখন তিনি দেখলেন যে তার আচরণ ভিন্ন দিকে তখন তিনি বায়াত পরিত্যক্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই বলে থাকে যে সে নাকি আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী (র.) এর কাছ থেকে খেলাফত নিয়েছিল আবার অনেকে তা তাদের বইয়ে এনে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আহমদ বেরলভি যখন ১০ হাজার বাহিনী নিয়ে ইসলামের জন্য আন্দোলন দেখিয়েছিল তাতে অনেক মুহাদ্দিস, মুফতিরাও সেখানে যোগ দিয়েছিল। পরে যখন তারা দেখে যে তার আন্দোলন ছিল লোক দেখানো তখন তারা সরে দাড়ায়। কেননা তার আন্দোলন ইংরেজ বিরোধী ছিল না বরং তার দশ হাজার বাহিনীর জন্য ইংরেজরা খাবার পাঠিয়েছিল। যদি তা ইংরেজ বিরোধী থাকত তাহলে তারা কখনো আহমদ বেরলভির জন্য খাবার পাঠাত না। সে যখন বালাকোটে এসে তার মনগড়া ফতোয়া দিচ্ছিল যা অনেক সাহাবাদের বিরুদ্ধে ছিল, সুন্নিয়তের বিরুদ্ধ ছিল। ফলে সেখানকার সুন্নি মুসলমানরাও তার বিরুধীতা করেছিল। তার ওহাবীবাদ যখন শুরু করল, তার কাজ দেখে তার সাথে যে দশ হাজার বাহিনী এসেছিল তারা তার কাজ দেখে তার থেকে দূরে সরতে লাগল। শেষ পর্যন্ত তার বাহিনী দশ হাজার থেকে মাত্র নয়শতে নেমে আসে। এই ছিল তার অবস্থা। তাছাড়া বাংলার সুন্নিয়তের প্রাণ, যার জন্য আজ বাংলার সুন্নিয়ত তাজা রয়েছে, সারা বিশ্বে ইসলামের বীরপুরুষ ইমাম শেরে বাংলা আজিজুল হক (র.) তার দিওয়ানে আজিজে লিখেছেন সৈয়দ আহমদ বেরলভি হল গোস্তাকে রাসূল। একই কথা বলেছিলেন সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরীয়ার সৈয়দ সাবের শাহ (মা.)। আমরা এইখান বলতে পারি যে লোক দেখানো আন্দোলনের নাম দিয়ে এই উপমহাদেশে ওহাবীবাদ এনেছিল সৈয়দ আহমদ বেরলভি।
0 Comments