
মানুষের জীবনের পেছনে লুকিয়ে থাকে অনেক হাজারো গল্প। প্রতিটা জীবন পার হয় তার জানা অজানা সাজানো গোছানো সুখে দুঃখের ভরা হয়ত অলিখিত ইতিহাস দিয়ে। তবে প্রত্যেক মানুষই যার যার অবস্থানে থেকেই তাদের গল্পগুলো সাজাই। সে হতে পারে দিনমজুর, জেলে-চাষী, চাকরিজীবী,ব্যবসায়ী কিংবা ধনী। সবার কাজে রয়েছে শ্রম হয়ত শারীরিক বা মানসিক। ছবির মানুষটি কত আরামের ঘুম ঘুমাচ্ছেন তার নৌকার উপর। হয়ত সে পদ্মার মাঝি। সারাদিন সে পরিশ্রম করে যখন একটু সময় হল পদ্মা- মেঘনার মোহনার কোন এক চরে তার নৌকাকে সে আরামের জন্য বেঁচে নিয়েছে।নদীর মোহনার ছোট ছোট ঢেউগুলো নৌকাটিকে দোলনার মত দৌলাচ্ছে। হয়ত যখন কোন শিশু কান্না করলে তাকে যদি দোলনায় দৌলানো হয় তখন সে কান্না থামিয়ে ফেলে কেননা সে দোল খাওয়াতে আরামবোধ করে। ঠিক ঐ মাঝি হয়ত পদ্মা মেঘনার মোহনার সেই ছোট ছোট ঢেউয়ের নৌকার দোলকে আরামের করে নিল।তার বাড়ি গিয়ে আরামের সময় নেই তাই সে বিকেলের এই সময়টাতে তার ঘুমের কাজ সেরে নিচ্ছে। আমি দেখেছি সেখানের মাঝিরা রাতে মাছ ধরে। যখন সেখানকার মানুষ খাওয়া শেষে রাতে ঘুমাতে যায় তখন জেলেরা নৌকা নিয়ে ছুটে যায় নদীতে মাছ শিকারে।পদ্মার জেলেরা সারারাত মাছ শিকার করে আর দিনের বেলা মাছ বিক্রি করে। তার মধ্যে ইলিশই প্রধান।ইলিশ আমার তেমন পছন্দ না কাটা বেশি বলে। চট্টগ্রামের সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে বলে পদ্মার ইলিশকে তেমন গুরুত্ব দেয় নি কিন্তু শুনলাম সাগরের ইলিশের চেয়ে নাকি নদীর ইলিশ স্বাদ বেশি। যাইহোক এই নদীর জেলেদের গল্পগুলো একটু ভিন্ন মনে হলো। তবে নদীর মিলনের স্থান সবাই উপভোগ করে। এই ছোট জীবনের গল্প আমাদের অনেক দূর নিয়ে যায়। একটা পরিবারের জন্য মানুষ কতভাবেই না তাদের জীবনকে সাজাই তা মানুষ কখনো ভ্রমণ ছাড়া বুঝতে পারবে না।
0 Comments