
জীবনে সবার চলার পথ কখনো এক হয়না। প্রত্যেক মানুষ যার যার অবস্থান থেকে কিংবা পরিস্থিতি থেকে বিভিন্ন দিকে গমন করে। হয়ত কারো লক্ষ্য একদিকে কিন্তু তাকে পরিস্থিতি নিয়ে যায় অন্যদিকে। সব দেশের কথা জানিনা, আমাদের এই বাংলাদেশের খুব কম মানুষই তাদের যে পথে যাওয়ার আগ্রহ থাকে সেই পথে যেতে পারে না। কেননা এই দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্য আর মধ্যবিত্ত। ফলে তাদের পরিবারের অবস্থানের কারণে তাদের মত পাল্টাতে হয়, তাদের লক্ষ্যে পৌঁছার উপায় থাকে না পরিবারের অবস্থান চিন্তা করে তারা বেরিয়ে পড়ে জীবন সংগ্রামে যেখানে তার লক্ষ্য হয়ে যায় তার পরিবার। বাংলাদেশের অনেক গ্রাম ঘুরে আসা হল অনেক গ্রামেই মানুষের চিন্তা তার ছেলে কে বিদেশ পাঠানো। যদিও গ্রামগুলো কৃষি নির্ভর পরিবারে ভরা তাতে তাদের মিটে না। যদি একটা ছেলে বিদেশ থাকে তাতে তাদের সচ্ছলতা। বর্তমান কৃষিতে খরচ বেশি বলে যারা অন্যের জমিতে চাষ করে তাদের পরিশেষে যা থাকে তাতে তাদের দিন চলে কিন্তু বাড়তি কিছু করার উপায় থাকে না। আবার কোনো সময় পরিবারের অসহায়ত্ব পরিবারের ছেলের কাঁধে দ্বায়িত্ব পড়ে। ফলে তার স্বপ্ন চলে যায় ভিন্ন দিকে। অধিকাংশ পরিবার মধ্যবিত্ত হয় তাদের পরিবারের প্রধান কিংবা বাবা বিদেশ থাকে কিন্তু দেখা যায় কেউ কেউ হঠাৎ কোন কারণে বিদেশ থেকে চলে আসে ফলে সেই পরিবার বেকার হয়ে পড়লে চাপ আসে সেই স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা ছেলেটার কাছে ফলে তার আর স্বপ্ন পূরণ হয় না। তাকে চলে যেতে হয় আয়ের জন্য, তাই সে বেরিয়ে পড়ে পরিবার বাচানোর জন্য। তাইতো আমরা আজ অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ দূর্নীতি আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে। একটা প্রবাদ রয়েছে, "লোভে পাপ পাপে মৃত্যু"। দূর্নীতিবাজদের জীবনে এমনটাই ঘটে। তারা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লোভ সামলাতে না পেরে দূর্নীতিতে পা দেয়। তাই তারা সেই সময়ে টাকা অধিক পরিমাণ আয় করলেও শেষ বয়সে গিয়ে ভোগতে হয়। হয়ত অসুখে নয়ত অন্য কোন কারণে তারা বুড়ো বয়সে কষ্ট পাই। মানুষের অভিশাপ তাদের ভালো রাখে না। তবে বর্তমান সময়ে সৎ লোক খুবই কম। মানুষের বিভিন্ন পথে গমন করার এই কারণগুলো হয়ত উন্নত দেশগুলোতে নেই বললে চলে। সবার ইচ্ছা থাকে কিন্তু সবার ইচ্ছা পূরণ হয় না। কারোটা ডাকা পড়ে যায় আবার কারোটা পূর্ণ হয়।যে যেদিকেই গমন করোক না কেন সবার কাছে সততা ন্যায়পরায়ণতা না থাকলে জাতির জন্য প্রতিবন্ধকতা জাতির মধ্যেই থেকে যাবে।
0 Comments