আমাদের এই মহাদেশে ইসলাম প্রচার করেছিল মহান আল্লাহর অলীরা। তারা জোরপূর্বক কাউকে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করতেন না বরং তাদের আচার-ব্যবহার দেখে তাদের শান্তি প্রিয় ভাষা শুনে মানুষ স্ব-ইচ্ছায় ইসলামের ছায়াতলে আসতেন তারা কোনটা সঠিক কোনটা ভুল সে সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জেনেছিল। এভাবে সারা বিশ্বের মধ্যে আল্লাহর অলীরা ইসলামের খেদমতে লিপ্ত। আমরা অনেকেই নাম শুনেছি হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র.) এর। তিনি আল্লাহর মহান অলী যিনি সারাবিশ্বে ইসলামের খেদমতে লিপ্ত ছিলেন। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তার দরগাহ রয়েছে। তেমনি আমাদের চট্টগ্রামেও একটা তার দরগাহ রয়েছে, শুধু তাই নয় সেখানে তিনি রেখেগেছেন তার কারামত যা আমরা আজও দেখতে পাই এবং কিয়ামত পর্যন্ত যা থাকবে তা হলো গজালি-মজালি নামে পরিচিত। তিনি একদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, পথে দেখলেন খৃস্টানদের বড় একটা উৎসব হচ্ছে। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে খৃস্টানরা এসে জমায়েত হয়েছে। তাদের পাদ্রীরা তা পরিচালনা করছে। তখন বায়েজিদ (র.) সেখানে গেলেন এবং স্টেজের উপর উঠলেন যেখানে অনেক পাদ্রী বসা আছে। তিনি সেখানে উপস্থিত সকলের নিকট বললেন তোমরা যে ধর্ম অনুসরণ করছ সেটা সঠিক নাকি ভুল কখনো ভেবে দেখেছ? উপস্থিত জনতা তার কথা শুনে ক্ষেপে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে তোমাদের পাদ্রীদের সাথে একটু কথা বলার সুযোগ করে দিবে, তাদের সাথে কিছু কথা বলে আমি চলে যাব। তখন তারা সম্মতি দিয়েছিল। আর সম্মতি পেয়ে বায়েজিদ (র.) বললেন পাদ্রীদের তোমরা ইঞ্জিন কিতাব পড়? তখন তারা বলল হ্যা পড়ি। তখন বায়েজিদ (র.) বললেন সেখানে কি নেই যে আমাদের নবী শেষ নবী এবং তার প্রচারিত ধর্ম একমাত্র আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য! তারা বলল হ্যা আমরা পেয়েছি। তখন বায়েজিদ (র.) বললেন তাহলে তোমরা কেন নিজেদের ধোকা দিচ্ছ। তখন সকল পাদ্রী লজ্জিত হয়ে বলল হুজুর, আমাদের পূর্বপুরুষরা পালন করে আসছে বলে আমরা ও পালন করছি, এটা আমাদের ভুল। তখন পাদ্রীরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে উপস্থিত সকলকে তাদের কিতাবের কথা বলে এবং তারা সকলে হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র.) এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ইঞ্জিন কিতাব তথা বর্তমানে যেটা ভাইবেল নামে পরিচিত সেটা আগের মত নেই, ভুলে ভরে আছে এই কিতাবটি। যতদিন যাচ্ছে খৃষ্টানরা এতে নিজেদের মনগড়া কথা আনছে যার সাথে পুরনোটার সাথে কোন মিল নেই। আল্লাহর অলীরা সবসময় মানুষকে সত্যের আহ্বান করে দ্বীন-ধর্মের প্রচার করেছিলেন বলে আজ আমরা ইসলামকে পেয়েছি। কেননা এই উপমহাদেশে কোন নবী -রাসূল কিংবা সাহাবীরা আসেনি। তাই আল্লাহ তার দ্বীনকে বিশ্বের আনাচে-কানাচে পৌঁছে দিয়েছেন তার অলীদের মাধ্যমে।
1 Comments
A great human
ReplyDelete