একজন মানুষ সাধারণত সামাজিকভাবে একটা স্থানে বেড়ে ওঠে। তাই সে ধীরে ধীরে সমাজে সকলের সাথে মিশতে থাকে । সমাজে একেক মানুষ একেক ধরণের হয়ে থাকে। কেউ শান্তশিষ্ট আবার কেউ সবার সাথে সবসময় মেতে থাকতে পছন্দ করে আবার কেউ সামান্য কারণে রেগে যায় এই রকম প্রত্যেকের স্বভাব আচার-আচরণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আবার দেখা যায় কেউ কেউ সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সারাক্ষণ। এইগুলো তারা যাদের কোন কাজ থাকে না, সারাক্ষণ অন্যার দোষ খুজে বেড়াই। তাই এই সমাজে যারা প্রকৃতরুপে জীবনকে সুন্দর করে সফল হতে চায় তাদের অনেক কিছু উপেক্ষা করতে হয়,অনেক কিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। তারা সহজে রাগতে পারে না। রাগলেই যে সে এগুতে পারবে না তার সমাজে। কেননা মানুষ যখন রেগে যায় তখন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তার রাগের কারণে। রাগ সবসময় মানুষকে ভুলের দিকে নিয়ে যাই। তাই যেকোন পরিস্থিতিতে রাগ করা চলবে না।আবার অনেকে কোন কিছুর কারণে অকারণে জেদ করে বসে। সে জেদের ফলে যে সিদ্ধান্ত নেই সেটাতে সে অটল হয়ে বসে। তার সিদ্ধান্ত ভুল হোক কিংবা সঠিক হোক সে সেদিকে লক্ষ্য করে না। এমন জেদ সবার জন্য অকল্যাণকর। তাই তাকে জেদ থেকেও দূরে থাকতে হয়। না হলে সে সামনে অগ্রসর হতে পারবে না। কিন্তুু সমাজ ও তার পিছু ছাড়ে না। কেউ তার ভাল সিদ্ধান্তগুলোর দোষ খুজে আবার কেউ সমালোচনায় লিপ্ত। তাই তাকে জীবন যুদ্ধে সমস্ত কটু কথায় না রেগে ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ধীরে সুস্থে সিদ্ধান্ত কথাটা বলা যতটা সহজ কাজটা তার চেয়ে শতগুণ কঠিন। এই কাজটা সবাই করতে পারে না। আবার অনেকেই রাগ কমলে সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ধীরে সুস্থে মনে করে থাকে। যা মোটেও ঠিক নয়। কাজটা যেমন সবাই পারে না তেমনি যারা পারে তাদের কেউ আটকে থাকে না। তারা দূর গন্তব্যের পানে ছুটে চলে।
0 Comments