Advertisement

Responsive Advertisement

বায়েজিদ বোস্তামী ও এক বালক

বায়েজিদ বোস্তামী ( র.) এর কাছে একদিন একটি বালক এসে ভিক্ষা চাইল। তখন বায়েজিদ (র.) দেখলেন বালকটি সম্পূর্ণ সুস্থ তাই বায়েজিদ(র.) বালককে জিজ্ঞেস  তুমি ত সম্পূর্ণ সুস্থ তা সত্ত্বেও ভিক্ষা করছ কেন?  বালকটি তখন উত্তর দিল ইচ্ছা কারণে সে ভিক্ষা করছে, সে এক গরিব ছেলে। তখন বায়েজিদ(র.) বললেন তুমি ত কাজ করে খেতো পারো? বালটি বলল অত কিছু বুঝিনা!  আমার প্রত্যেক অঙ্গের দাম অনেক  লক্ষ লক্ষ টাকা, চাইলে কোন একটা  অঙ্গ আমি বিক্রি করে  অনেকদিন যাবত বসে  খেতে পারব।  আপনি ভিক্ষা দিলে দেন আমি চলে যাই। বালকের এমন কথা শুনে বায়েজিদ (র.) এর প্রচুর রাগ হল এবং বালকটিকে  থাপ্পড়  মারল আার বললেন, দেখ আল্লাহ তোমায় কত দামি অঙ্গ দিয়েছেন আর তা সত্ত্বেও তুমি ভিক্ষা করে  খাচ্ছ!  এই বলে বালকটিকে ভিক্ষা না দিয়ে পাঠাই দিলেন।বালকটির ভেতর আগে থেকেই অনেক জ্বালা ছিল তা  জাগ্রত অবস্থায় ছিল না। যখন আল্লাহর অলির কাছে গেল তার ভেতরের জ্বালা জাগ্রত হয়ে গেল, বায়েজিদ (র.) একজন এত বড় মাপের মানুষ তারপরও তাকে ভিক্ষা দিল বরং থাপ্পড় দিয়ে পাঠাই দিল, এইসব ভাবতে ভাবতে বালটি  তার জ্বালা নিয়ে চলতে লাগল, কিছুদূর যাওয়ার পর সে এক ধনী ব্যক্তিকে হেটে যেতে  দেখল। তখন সে  তার পরনে জামা খুলে ফেলল আার ঐ  ব্যক্তিটি কাছে গিয়ে তার জুতা মোছে দিল। তখন ঐ ব্যক্তি তাকে খুশি হয়ে পাঁচ টাকা দিল । এভাবে  বালটি  কাজ শুরু করল আর কিছু  টাকা সে সঞ্চয় করে, তারপর সে একটা ছোট জুতার দোকান দিল, আস্তে আস্তে সেই দোকান বড় করে। পরে এক সময় দেখা গেল সে অনেকগুলো দোকানের মালিক হয়ে যায়।কিন্তু সে বায়েজিদ (র.) কে  ভুুুলেনি।সে বাজার থেকে কিছু মিষ্টি নিয়ে বায়েজিদ(র.) এর দরবারে হাজির হল।বায়জিদ (র.) কে জিজ্ঞেস করল আমাকে চিন্তে পেরেছন? তখন বায়েজিদ(র.) বললেন তুমি সেই না যাকে আমি থাপ্পড় দিয়েছিলাম ভিক্ষা না দিয়ে।তখন সে বলল সেইদিন যদি আপনি থাপ্পড় না দিতেন তাহলে আজ আমি ধনী হতে পারতাম না।কারও ভেতর যদি জ্বালা থেকে তাহলে আল্লার অলির দরবারে যাও। আল্লাহর অলিরাই তোমার ভেতরটাকে জাগ্রত করতে পারে।তোমায় আলোর পথে নিয়ে যাবে।তাইতো আল্লাহ পবিত্র কুরআনে তার অলিদের শান-মান তুলে ধরেছেন।

Post a Comment

1 Comments