Advertisement

Responsive Advertisement

মিলাদুন্নবী ( ﷺ) কেন সকল ঈদের সেরা ঈদ।

সকল প্রসংশা মহান আল্লাহর যিনি আমাদের  চারদিকে নেয়ামত দিয়ে ভরপুর করে রেখেছেন,যিনি এই সমস্ত জগতের লালন-পালনকর্তা। সেই রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করছেন,
তোমরা আমার অনুগ্রহ এবং রহমত গুলোতে খুশি উদযাপন কর।
(সূরা বাকারা আয়াত ২৩১,) কিছু অংশ।
এই পৃথিবীতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের জন্য প্রিয় নবী (ﷺ) কে রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছেন। আল্লাহর সৃষ্টির প্রথমদিকে গেলে, সর্বপ্রথম আল্লাহ প্রিয় নবী ( ﷺ) কে সৃষ্টি করেছেন। ফেরেস্তাদের প্রথম হযরত জিবরাইল (আ.) কে সৃষ্টি করার পর তিনি ১৪০০০ বছর আল্লাহর সিজদায় পড়েছিলেন। তখন তিনি খোদার সৃষ্টির কিছুই দেখেননি তাই যখন সিজদা থেকে উঠলেন তখন তিনি আল্লাহকে প্রশ্ন করেছিলেন হে মাবুদ তুমি কি আমার আগে আর কিছু সৃষ্টি করেছ? তখন আল্লাহ তার আরশের পর্দা উঠিয়ে নিলেন আর সেখানে দেখতে পেলেন একটি নুরের টুকরো ঝলঝল করছে এবং সেটির আলোয় চারদিক উজ্জ্বল হয়ে আছে। তখন জিবরাইল (আ.) জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহ তিনি কে?  তখন আল্লাহ বললেন আমি তোমাকে এই নুরের সেবা করার জন্য  সৃষ্টি করছি। তখন জিবরাইল (আ) আবার আল্লাহর দরবারে সিজদায় পড়েছিলেন। আল্লাহ মানবজাতি সৃষ্টির আগে জিনজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি জীন জাতির উপর সন্তুষ্ট ছিলেননা কেননা তারা আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। তাই তিনি জীন জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এরপর যখন হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করেছেন এবং টানা ৪০ বছর আদম (আ.) আল্লাহ বিভিন্নভাবে কথা বলার জন্য ডাকতেন। কিন্তু আদম (আ.) কোনভাবে কথা বলেনি। অবশেষে আল্লাহ ডাক দিয়ে বলছেন হে আদম আমি তোমাকে কথা বলার সবকিছু দিয়েছি তুমি কথা বলছ না কেন?  তখন আদম (আ.) বললেন, মাবুদ তুমি আমায় কথা বলার সবকিছু দিয়েছ কিন্তু কথা বলার অনুমতি আমাকে দাও নাই। কথাটা আল্লাহর কাছে বড় পছন্দ হল। তখন আল্লাহ আমাদের নবীর (  ﷺ) নুরকে আদম (আ.) এর কপালে স্থানান্তরিত করলেন আর ফেরেস্তাদের বললেন তোমরা আদমকে সিজদাহ্ কর। সেখানে যদিও সিজদাহ্ আদম ( আ.) কে করতে বলেছিলেন কিন্তু তাজিম ছিল প্রিয় নবী (  ﷺ) এর। যখন আল্লাহ সকল নবী থেকে আসমানে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যেন প্রিয়নবী (  ﷺ) কে যদি তাদের সময়ে পাই তারা যেন আমার নবীকে (  ﷺ) কে ইমামুল আম্বিয়া হিসেবে মেনে নেয়। তাই প্রত্যেক নবীর মনোভাসনা ছিল তারা তাদের সময় আমার নবীকে পাবে। কিন্তু কেউই পাননি। হযরত মূসা (আ.) আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন, হে আল্লাহ তুমি আমাকে নবী না বাণীয়ে ইমামুল আম্বিয়ার উম্মত বাণীয়ে দাও। কিন্তু আল্লাহ তা করেননি। হযরত ঈসা (আ.) ফরিয়াদ করেছিলেন নবী করীম (ﷺ) এর উম্মত বানানোর জন্য। আল্লাহ তার দোয়া কবুল করলেন এবং উনাকে উম্মত হিসেবে আবার পাঠাবেন। মূসা (আ.) ঈসা (আ.) যাদের উপর আসমানি কিতাব নাযিল হয়েছিল এবং উচ্চ স্তরের পয়গম্বর ছিলেন  উনাদের চাওয়া ছিল প্রিয়নবীর (ﷺ) এর উম্মত হওয়া সেখানে আমরা না চাইতেই আল্লাহ আমাদের দয়াল নবীর (ﷺ) উম্মত বানিয়েছেন। এর চেয়ে আনন্দের বিষয় আর কি হতে পারে। আমাদের প্রিয় নবী (ﷺ)  এর আগমনের চেয়ে একজন মুসলমানের খুশি আর কোন কিছু কিভাবে হতে পারে। আল্লাহ বলছেন আমি যদি মুহাম্মদ ( ﷺ) কে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আর কোনকিছু সৃষ্টি করতাম না।আমাদের দেশে কিছু লোক দেখা যায় যারা বলে থাকে ঈদ নাকি দুইটা!  তাদের উদ্দেশ্যে বলছি ঈদ মানে খুশি। কেউ যখন বিশেষ কিছু  অর্জন করে কিংবা বিশেষ মুহূর্তে খুশি উদযাপন করে যা তাদের জন্য মুখে না বললেও ঈদ হয়ে থাকে। যেহেতু ঈদ মানে খুশি তাই প্রত্যেকের আনন্দর  দিনটিও তার জন্য ঈদ। তাছাড়া আল্লাহ জুমারদিনকেও ঈদের দিন বলেছেন। সকল খুশির দিনই ঈদের দিন সেটা হোক নির্দিষ্ট কারো জন্য কিংবা জাতি জন্য। আর প্রত্যেক মুসলমানের সবচেয়ে বেশি খুশির দিন হল আমাদের প্রিয় (ﷺ) এর আগমনের দিনটি। আর কেউ যদি তা অস্বীকার করে সে কখনো মুসলমান হতে পারে না তাই সে অস্বীকার করল। প্রিয়নবী (  ﷺ) এর আগমনে শয়তান বেজার ছিল। আবার শয়তান দুই প্রকার। একটা হল জীন শয়তান আরেকটি হল মনুষ্য শয়তান। জীন শয়তান সুযোগ পেলে মানুষকে তার দলে নিয়ে যায় আর তার দ্বারা শয়তান কাজ করিয়ে থাকে। তাই প্রিয় নবী ( ﷺ) এর আগমন শয়তানের জন্য বেজার আর মুসলমানদের জন্য খুশি মানে ঈদ। তাই আমরা বলতে পারি আমাদের প্রিয়নবী ( ﷺ) না আসলে আমরা অন্য ঈদগুলো পেতাম না , যেহেতু আল্লাহ বলে দিয়েছেন তিনি প্রিয়নবী (ﷺ) কে সৃষ্টি না করলে আর কিছুই সৃষ্টি করতেন না, যে ঈদের জন্য আমরা অন্য ঈদগুলো পেয়েছি তা সকল ঈদের সেরা ঈদ কেন হবে না। অতএব আমরা উচ্চ আওয়াজে বলতে পারি সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)।                                                                                                                                                   

Post a Comment

0 Comments