
সকল প্রসংশা মহান আল্লাহর যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমাদের লালনকর্তা, রিযিক দাতা। পরম দয়ালু, সর্বশক্তিমান সেই প্রভুর দরবারে লক্ষ -কোটি শুকরিয়া আদায় করছি,যিনি আমরা কোন কিছু না চাওয়া সত্ত্বেও আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, অসংখ্য নিয়ামত দ্বারা ভরপুর করে রেখেছেন। তিনি রহমান তিনিই রহীম, তিনি একক অদ্বিতীয়। তার কোনো শরীক নেই, তার জন্ম কিংবা মৃত্যু নেই। তিনি এইসব হতে পবিত্র। আমরা যখন কথা বলি, মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেকে কথায় কথায় বলে ফেলে আল্লাহ অমুক জায়গায় আছে। কিন্তু এই ধারণা ভুল, কেননা মহান আল্লাহ জায়গা হতে পবিত্র অর্থাৎ উপরে-নিচে, ডানে -বামে,উত্তর - দক্ষিণ, পুর্ব - পশ্চিম এইসব থেকে মহান আল্লাহ পবিত্র। তার কোনো আকার-আকৃতি নেই। আবার অনেক সময় দেখা যায় শবে বরাত কিংবা শবে কদর আসলে তখন আমরা অনেকেই বলে থাকি যে ঐ রাতগুলো আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং বান্দাদের চাওয়ার জন্য আহ্বান করেন। যেহেতু মহান আল্লাহ জায়গা স্থান থেকে পবিত্র তাই আমাদের এই প্রচলিত ধারণা ভুল। ঐ সময় মহান আল্লাহ প্রথম আসমানে আসেননা বরং সে সময় আল্লাহ তার ফেরেস্তাদের পাঠান।আমরা না বুঝে অনেক ভুল ধারণা নিয়ে কথা বলে থাকি। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের সমাজ হাসি ঠাট্টা করার সময় আল্লাহর নাম নিয়ে ফেলে যা করা আমাদের জন্য মোটেও উচিত নয়। মহান আল্লাহ সবসময় সর্বস্তরে বিদ্যমান। তিনি আমাদের একমাত্র প্রভু। তিনি আমাদের তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন, আবার তিনি আমাদের শিক্ষা অর্জন করার জন্যও বলেছেন। কেননা আমরা যদি জ্ঞান অর্জন না করি তাহলে আল্লাহকে আমরা যথাযথ চিন্তে পারব না। যার বাস্তব প্রমাণ আমাদের সমাজে প্রচলিত উপরের উক্তি গুলো যার ফলে শিরক হয়ে থাকে। শিক্ষা ছাড়া যেমন আল্লাহকে যথাযথ চেনা যায় না তেমনি আল্লাহর সৃষ্টি না দেখলে তার সৃষ্টির অপরিসীম সৌন্দর্যের প্রশংসা করা যায় না। মহান আল্লাহ যেসকল পাহাড়-পর্বত, নদী-খাল,গাছ-পালা, পশু-পাখি অপরুপে সৃষ্টি করেছেন সবকিছুই মানুষের সেবার জন্য। আমরা তার কাছে চাই নি তারপরও তিনি আমাদের তার সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পাঠিয়েছেন। আমরা কতই না ভাগ্যবান। আমাদের বুঝার এবং জানার সেই তৌফিক যেন আল্লাহ আমাদের দেন।
0 Comments