
সূর্যগ্রহণ কথাটার সাথে আমরা সকলেই খুবই পরিচিত। আমরা জানি সূর্যগ্রহণ এর মানে পৃথিবী চাঁদ আর সূর্য একই বলয়ে অবস্থান করায় সূর্যের কিছুটা অংশ দেখা যায় না। তাই এটা নিয়ে অনেক জায়গার মানুষ অনেক ধরনের কথা বলে থাকে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ তাদের ভাষায় বিভিন্নভাবে বলে থাকে।চট্টগ্রামের ভাষায় বলে চাঁদে সূর্যুরে গন্নায় লইয়্যি। যাইহোক এইটার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সূর্যগ্রহণ হত তখন তিনি সালাত আদায় করতেন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন। সেই সময় কিছু কাফের সেটা নিয়ে ঠাট্টা করত। তারা বলত সূর্যগ্রহণ এর সাথে এটার সম্পর্ক কি? তারা এটাকে এড়িয়ে যেত। কেননা তখনকার বিজ্ঞানের প্রসার বেশি ছিল না। অধিকাংশই মানুষের অজানা ছিল বর্তমানে যা অতি সামান্য। তাদের বিজ্ঞানের প্রসারতা কম ছিল বলে তারা মহাকাশ মহাবিশ্ব সম্পর্কে তেমন জানত না। ধারণার উপর অনেক কথা বলত। ১৯ শতকের শুরুর দিকে আবিষ্কার হয় গ্রহাণুপুঞ্জ। আর এতে রয়েছে বিশাল আকৃতির পাথর যার একটি যদি পৃথিবীতে আঘাত করে তাহলে পৃথিবী ধ্বংস স্তুপে পরিণত হবে। কিন্তু তা পৃথিবীতে ছুড়ে পড়ে না। তবে পাথরগুলোর মধ্যে একটা আরেকটার সাথে যে ঘর্ষণে লিপ্ত হয় সে ঘর্ষণের ফলে পাথরের ছোট ছোট অংশ পৃথিবীর দিকে ছুড়ে এলে তা বায়ুমন্ডলে এসে জ্বলে বিনষ্ট হয়ে যায় বলে পৃথিবীর উপর কোন প্রভাব পড়ে না। যখন সূর্যগ্রহণ হয় তখন পৃথিবী চাঁদ সূর্য একই বলয়ে অবস্থান করায় তাদের মধ্যে ত্রিশক্তি মিলিত হয়। যার ফলে ঐ সময় গ্রহাণুপুঞ্জের পাথর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইসলাম এই সমশ সৃষ্টিকর্তার নিকট এই ভয়ংকর বিপদ হতে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করার জন্য বলেছে। যে সময় মানুষ বিজ্ঞান বললে বুঝতে পারত না সে সময় থেকে ইসলাম সমস্তকিছুর কথা বলে দিয়েছে। আজ আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি ইসলাম যা আজ থেকে হাজার বছর আগে বলে দিয়েছে তা এখন বিজ্ঞানীদের কাষ্টের ফসল। তারা এখন আবিষ্কারের মাধ্যমে ইসলামকে বুঝতে পারছে। এই বিশাল মহাবিশ্বের মাঝে বিজ্ঞানের তথ্য সামান্যই বটে।
0 Comments